গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধর্ষণ মামলায় আটক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য স্বামীর মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই সেনাসদস্যের স্ত্রী।
রোববার দুপুর ১২টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সেনাসদস্যের স্ত্রী আসমা বেগম ভুলু এ সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বামীর মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রত্ন তালুকদারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে তার স্বামী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল মোহাম্মদ রফিকুল হাসানের (সেন্টু মুন্সি) বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১ সেপ্টেম্বর রত্ন তালুকদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় তার মেয়ে মুন্নি বেগমকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ঘটনার তদন্ত না করে ওই দিন মুকসুদপুর থানা পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
আসমা বেগম আরও বলেন, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়।
ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় তার স্বামী জেলহাজতে থাকায় পরিবারের সামজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ সময় তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসীত কুমার মল্লিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিকটিমের ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা, প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল রিপোর্ট পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।